| |
               

মূল পাতা জাতীয় অর্থনীতি এআইআইবির কাছ থেকে আরো বাজেট সমর্থন দরকার : অর্থমন্ত্রী


এআইআইবির কাছ থেকে আরো বাজেট সমর্থন দরকার : অর্থমন্ত্রী


রহমত নিউজ ডেস্ক     18 January, 2023     11:48 AM    


বৈশ্বিক মহামারী মরণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোভিড-১৯ মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য বাংলাদেশকে ১০৫ কোটি মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা দিয়েছে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক-এআইআইবি। সে জন্য সংস্থাটিকে আরো ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের কাছে আরো বাজেট সহায়তা চেয়ে উর্জিত প্যাটেলের কাছে বাংলাদেশের ধারাবাহিক অগ্রগতির কথাও তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বিশ্ব এখন সংকটকাল অতিক্রম করছে, বাংলাদেশেও তার ব্যতিক্রম নয়। সে জন্যই এআইআইবির কাছ থেকে আরো বাজেট সমর্থন দরকার। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে আমাদের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ছিল মাত্র ৬৩০ কোটি ডলার। ২০০৯ সালে, অর্থাৎ ৩৮ বছরে তা ১০ হাজার কোটি ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারী) রাজধানীর একটি হোটেলে এআইআইবির দক্ষিণ এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট উর্জিত প্যাটেলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এ সহায়তা চান। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান প্রমুখ। অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ৪৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের জিডিপি নিয়ে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। অথচ এক বছর আগেও ৩৯ হাজার ৬০০ কোটি ডলার নিয়ে ৪১তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পরবর্তী লক্ষ্য হলো, ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট উন্নত দেশে পরিণত হওয়া। এ ক্ষেত্রে আমাদের উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সম্পদের পর্যাপ্ত সংকুলান নিশ্চিত করতে হবে।  সে লক্ষ্যে বরাবরের মতো বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা কামনা করেন অর্থমন্ত্রী। এদিকে লন্ডন আন্তব্যাংক সুদহার (লাইবর) উঠে গেছে গত বছরের জুন মাসে। লন্ডনের এক ব্যাংক আরেক ব্যাংককে যে সুদহারে ঋণ দেয়, সেটাই হচ্ছে লাইবর।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বড় বড় আকারের ঋণ দেওয়া-নেওয়ার ক্ষেত্রে লাইবর প্রথা অন্যতম মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত। বিশ্বের প্রায় সব দেশ ১৯৭০ সাল থেকে লাইবর প্রথা অনুসরণ করে, অর্থাৎ এর সঙ্গে সমন্বয় করে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) ও এআইআইবি থেকে বড় অঙ্কের ঋণ দেওয়া-নেওয়া হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যবহার করছে সিকিউরড ওভারনাইট ফাইন্যান্সিং রেট (সোফর)। অর্থমন্ত্রী সোফর হারের বর্তমান অস্বাভাবিক প্রবৃদ্ধি বিবেচনা করে এআইআইবি ঋণের শর্তাবলি পুনর্বিবেচনার জন্য উর্জিত প্যাটেলের কাছে অনুরোধ করেন। বিশ্বব্যাংককে অনুসরণ করে প্রতিশ্রুত মাশুল মওকুফ করার অনুরোধও করেন অর্থমন্ত্রী।